বারমুডার ট্রাইএঙ্গেলের ব্যাপারে তো সারা পৃথিবী জুড়েই নানানরকম তথ্য লেখা হচ্ছে এবং সব মানুষের কাছেই এ ব্যাপারে সাধারণ জ্ঞান বিদ্যমান।
কিন্তু বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের মতই রহস্যময় ও ভয়ানক সব ঘটনাবলীর কেন্দ্রস্থল জাপানের ড্রাগন ট্রাইএঙ্গেল তথা শয়তানী সমুদ্রের ব্যাপারে অবগত ব্যক্তিদের সংখ্যা খুবই কম।
জাপানের জনসাধারণের এ ব্যাপারে খুব ভাল করেই জানা এবং ওখানকার লোকদের উপর এত্থেকে দূরে অবস্থান করার সরকারী আদেশ এখন পর্যন্ত জারী। কিন্তু জাপানবহির্বিশ্বের লোকেরা এ ব্যাপারে বেশি কিছু জানেনা।
অথচ বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের মত এখানেও সামুদ্রিক জাহাজ, সাবমেরিন ও উড়ন্ত জাহাজ গায়েব হওয়ার ঘটনা অজস্র সংখ্যায় ঘটে আসছে। বরং গবেষকদের ধারণা, এখানকার গায়েব হওয়ার ঘটনা বারমুডা থেকেও বেশি।
এখানেও যুগের অত্যাধুনিক আর সর্বাধিক দক্ষ ব্যক্তি এবং পরিপক্ক পাইলটদের গায়েব করা হয়েছে। সবচেয়ে ভয়ানক ব্যাপার হচ্ছে, এখানে গায়েব করা সামুদ্রিক জাহাজগুলির তালিকায় এমন সব জাহাজও বিদ্যমান যেগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ধ্বংসাত্মক রাসায়ণিক পদার্থ বিদ্যমান ছিল।
অপরদিকে, বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে চার্লস বার্লিটজের দাজ্জাল কাহিনী গিলে নেন মিসরের লেখক মুহাম্মাদ ঈসা দাঊদ। তিনি পাকিস্তান এসে হয়ে যান 'মুহাক্কিক'। মাওলানা আসেম উমর, আবু লুবাবা শাহ মনসুর তাদের কাছ থেকেই দাজ্জালের ঠিকানা নেন। দাজ্জালকে ট্রায়াঙ্গলে বসান। বাংলাদেশে দাজ্জাল বিষয়ে লেখা কিছু বই-পত্র দেখলাম। দুঃখজনকভাবে সর্বত্র একই চিত্র। সৃজনশীলতা ও মৌলিকত্বের অভাব প্রকট।
দাজ্জালকে যদি কোনো দ্বীপে বন্দী মেনে নেয়াও হয় (তামীম দারীর হাদীস দীর্ঘ আলোচনার দাবি রাখে) তবুও সেটা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নয়। এখানে সুপারন্যাচারাল কোনো কিছু নেই। যা আছে সেটা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য মাত্র।
সম্ভবত সেসব কারণ কিংবা নিতান্তই যান্ত্রিক ত্রুটির ফলে কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে যা পৃথিবীর সর্বত্রই ঘটে থাকে। এর বড় প্রমাণ, বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের ওপর দিয়ে বিমান চলাচল কখনোই বন্ধ থাকেনি।
কারণ বন্ধ থাকার মতো কিছু ঘটেইনি। ছবির বিমানগুলো এই মুহূর্তে ট্রায়াঙ্গল অঞ্চলের ওপর দিয়েই উড়ছে। একই কথা প্রযোজ্য প্রশান্ত মহাসাগরের কথিত 'ড্রাগন ট্রায়াঙ্গল'র ব্যাপারেও।