▌জ্ঞানার্জনের পদ্ধতি বর্তমানে তিনটা।
উত্তম থেকে অনুত্তম ক্রমনুসারে:
▌১. বই + উস্তাদ কম্বাইন করে ইলম নেওয়া।
এ পদ্ধতি সবচেয়ে উত্তম। এখানে শায়খ বই এর বিরুদ্ধে সহজে কথা বলতে পারে না। বললেও সব প্রমাণ হাজির করাতে হয় নিজের মুখের কথাতে কাজ হয় না।
সাথে সাথে বই থেকে ছাত্রদের ভুল বোঝার আশংকাও হ্রাস পায়।
এভাবে যারা পড়াশোনা করে এদের প্রতিবন্ধকতা হলো, যদি ছাত্র কেবল কয়েকটি নির্বাচিত কিতাব পড়ার মধ্যে সীমাবন্ধ থাকেন তাহলেও তাকলীদ থেকে বের হতে পারে না। আর ওস্তাদকে নিজের মুরশিদ ভেবে নিলে একদমই খাস মুকাল্লিদ বনে যায়।
অধিকাংশ মুজতাহিদ ইমামদের শুরু এই পদ্ধতি থেকেই হয়েছে।
**তবে জেনারেলদের জন্য ভাল উস্তাদ পাওয়াটা একদমই প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় ।
▌২. কেবল বই থেকে অর্জন করা।
এটাতে পরিশ্রম করলে অনেক ইলম অর্জন করা হয়। কিন্তু সমস্যা একজাগায় হয়, বই পড়ার আগে তার অল্পজ্ঞান ছিল ফলে ওই জ্ঞানের আলোকে সব কিছু মাপঝোক করা শুরু করে দেয়। এতে ভুল বোঝা বুঝির আশংকা থাকে।
বিভিন্ন বাতিল ফতোয়া, উসূল নিজে নিজেই তৈরী করে বসে।
এ পদ্ধতি অনুসারীদের মুকাল্লিদের সংখ্যা কম। তবে ফিতনাবাজের সংখ্যাও বেশি।
▌৩. শায়খদের লেকচার থেকে ইলম নেওয়া।
এভাবেও ইলম অর্জন হয় কিন্তু এখানে যোগ্য শায়খ নির্বাচন করাও একটা কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সাথে সাথে শায়েখের প্রতি তাকলীদ অতিরিক্ত সুধারণা জ্ঞানী ভাবার প্রবণতা চলে আসে। অধিকাংশ মুকাল্লিদ এই অংশে রয়েছে।
তবে নতুন ফিতনা তৈরী হয় না তার ওস্তাদ যদি ফেতনা তৈরী করে সেই ফেতনার উপরই থাকে। নতুন কিছু তৈরী হয় না।
ব্যক্তিগত অভিমতে ২ নংটা ট্রাই করতে হবে কিন্তু নিজে থেকে ফতোয়া দেওয়া, মতামত দেওয়া থেকে ১০০% বিরত থাকতে হবে। অত:পর কোন ওস্তাদ থেকে নিজের ইলম ঝালাই করে নিতে হবে।